বঙ্গবন্ধু
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান) আয়োজিত সম্মেলনে লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধিতে ভূষিত করেন।
জাতির পিতা
আ. স. ম. আবদুর রব ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানকে "জাতির জনক" হিসেবে উল্লেখ করেন। পরবর্তীকালে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী তাঁকে সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের "জাতির পিতা" হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিবিসি বাংলা'র পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে পরিচালিত জরিপে শেখ মুজিবুর রহমানকে "সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি" হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
বিশ্ব বন্ধু
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই আগস্ট জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে কূটনীতিকেরা শেখ মুজিবুর রহমানকে "বিশ্ব বন্ধু" (ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড) হিসেবে আখ্যা দেয়।
রাজনীতির কবি
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক পত্রিকা (সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন) শেখ মুজিবুর রহমানকে "রাজনীতির কবি" (পয়েট অব পলিটিক্স) বলে আখ্যায়িত করে লিখে যে : "তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে আকর্ষণ করতে পারেন, সমাবেশে এবং আবেগময় বাগ্মিতায় তরঙ্গের পর তরঙ্গে তাদের সম্মোহিত করে রাখতে পারেন। তিনি রাজনীতির কবি।" সাংবাদিক লোবেন জেঙ্কিস বঙ্গবন্ধুকে "রাজনীতির কবি" হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।
জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ "জুলিও কুরি" শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। এটি বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বঙ্গবন্ধুকে "জুলিও কুরি শান্তি পদক" প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি ও নিরাপত্তা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। সেদিন রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশে বলেন, "শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুও বটে।"