bangabandhu

শেখ হাসিনা পরিবার

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের নেত্রী শেখ হাসিনা হলেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় প্রধান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে

প্রথম মেয়াদকাল

১৯৯৬-২০০১

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে

দ্বিতীয় মেয়াদকাল

২০০৯-২০১৪

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে

তৃতীয় মেয়াদকাল

২০১৪-২০১৯

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে

চতুর্থ মেয়াদকাল

২০১৯-২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ_গ্রহণ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে

পঞ্চম মেয়াদকাল

২০২৪ - বর্তমান

শপথ গ্রহন : ১১ই জানুয়ারি, ২০২৪

শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত। ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২০২২ সালে তাঁর অবস্থান ছিল ৪২ তম, ২০২১ সালে ৪৩ তম, এবং ২০২০ সালে ৩৯ তম। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফোর্বস লিখেছে, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নাগরিকদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মতো বিষয়গুলোতে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। শেখ হাসিনার চলমান সংগ্রাম বাংলাদেশে একটি দৃঢ় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।" এছাড়া তিনি বিশ্ব নারী নেত্রী পরিষদ-এর একজন সদস্য, যা বর্তমান ও প্রাক্তন নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক।

প্রারম্ভিক ও শিক্ষা জীবন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। শৈশবে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় টুঙ্গীপাড়ার একটি পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় আসেন শেখ হাসিনা। পুরোনো ঢাকার মোগলটুলির রজনী বোস লেনে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। এরপর বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে তাঁরা নম্বর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে স্থানান্তরিত হন।

১৯৫৬ সালে টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখন শেরেবাংলা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে খ্যাত। ১৯৬১ সালের ১ লা অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন । ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৭ সালে ঢাকার বকশী বাজারের ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় নামে পরিচিত।

শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা

জন্ম : ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সাল

মাধ্যমিক পাস : ১৯৬৫ সালে

উচ্চ মাধ্যমিক পাস : ১৯৬৭ সালে

স্নাতক (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) : ১৯৭৩ সালে

দাম্পত্য সঙ্গী : ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া

একই বছর (১৯৬৭ সাল) শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন

শেখ হাসিনা রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণের সুবাদে শৈশব থেকেই সংগ্রামী চেতনার সুমহান উত্তরাধিকার বহন করছেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। অনেক সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তাঁকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়েই পিতার মতো বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁকে পরাজিত করতে চাইলেও তিনি ফিরে এসেছেন শুধু জনগণের ভালোবাসায়। এ যেন সেই কথারই প্রতিধ্বনি, "তুমি যদি মানুষকে সত্যিই ভালোবাসো, তাহলে তারাও তোমাকে একই রকমভাবে ভালোবাসবে।"

সংগ্রামী নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের (সাবেক ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ) ছাত্রী থাকা অবস্থায়। তিনি এই কলেজের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নেন এবং কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা

রাজনৈতিক জীবন এক নজরে..

রাজনীতির সূচনা : বদরুন্নেসা কলেজ থেকে

আওয়ামী লীগের সভাপতি : ১৯৮১ সালে

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ১৭ মে ১৯৮১ সালে

প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত : ১৯৯৬ সালে

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতাকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে বছর ভারতে অবস্থান করেন। ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডে থেকে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। আওয়ামী লীগেকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ ই মে দেশে ফিরে আসেন।

দেশে ফিরে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি এবং তাঁর দল স্বৈরশাসনবিরোধী দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদ সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। ১৯৯১ সালে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের তৎকালীন বৃহত্তম বিরোধীদল হিসেবে প্রকাশ পায়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ শে জুন প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারি তৃতীয়বার, ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর চতুর্থবার এবং ২০২৪ সালের ৭ ই জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ
স্মার্ট বাংলাদেশ । প্রতীকী ছবি

স্বপ্ন এখন স্মার্ট বাংলাদেশ

স্মার্ট বাংলাদেশ হলো আওয়ামী লীগ সরকারের একটি প্রতিশ্রুতি ও শ্লোগান যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্যে ভর করেই দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ১২ ই ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সর্বপ্রথম "স্মার্ট বাংলাদেশ" গড়ার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সরকার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার চারটি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে কাজ করছে। এগুলো হচ্ছে — ১.স্মার্ট সিটিজেন, ২.স্মার্ট ইকোনমি, ৩.স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও ৪.স্মার্ট সোসাইটি।" বিস্তারিত...

হত্যাচেষ্টা

দৃঢ়চেতা ও দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা করা হয়। উল্লেখযোগ্য হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের ১০ ই নভেম্বর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে তাঁকে লক্ষ করে পুলিশের গুলিবর্ষণ। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় হেলিপ্যাডে এবং তাঁর জনসভাস্থলে ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দুটি বোমা পুতে রাখা হয়। তিনি পৌঁছার পূর্বেই বোমাগুলো সনাক্ত হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট। ঐদিন বঙ্গবন্ধু এভিন্যুয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও তাঁর দলের ২২ নেতাকর্মী নিহত হন এবং ৫ শ'র বেশি মানুষ আহত হন।

শেখ হাসিনা

সেরা মেগা প্রকল্পসমূহ

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও যোগ্য নেতৃত্বের ফলে দৃশ্যমান গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মেগা প্রকল্প, যেগুলোর সুফল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষ পেতে শুরু করেছে।

পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত পদ্মা সেতু হচ্ছে পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। ৪১ টি স্প্যান নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের দীর্ঘতম এ সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কি.মি. এবং প্রস্থ ১৮.১৮ মিটার। ২০২২ সালের ২৫ শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১০ ই অক্টোবর তিনি বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করেন। বিস্তারিত...

ঢাকা মেট্রোরেল

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে যে রেল ব্যবস্থা নির্মাণ করা হচ্ছে তা ঢাকা মেট্রোরেল বা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) নামে পরিচিত। প্রথম পর্যায়ে উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজের মধ্যে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরা উত্তর - আগারগাঁও পর্যন্ত এবং আগারগাঁও - মতিঝিল পর্যন্ত অংশের মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন যথাক্রমে ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২২৪ঠা নভেম্বর, ২০২৩ সালে। বিস্তারিত...

ঢাকা মেট্রোরেল
কর্ণফুলী টানেল

কর্ণফুলী টানেল

বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাই নগরীর মতো "ওয়ান সিটি, টু টাউন" মডেলে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ৩.৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেলটি কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নামে পরিচিত। ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুড়ঙ্গ পথটির উদ্বোধন করেন।

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অ্যাভিয়েশন হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই লক্ষ্যে প্রখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিনের নকশায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নতুন এ টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ৭ ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করেন।

হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল –৩
 রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২৪০০মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর নামক স্থানে অবস্থিত। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিশ্বের ৩৩ তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি বা ইউরেনিয়াম ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট থেকে আগামী বছর জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে রূপপুর কর্তৃপক্ষ।

বঙ্গবন্ধু কন্যার সৃষ্টিকর্ম

রাজনীতির বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ সমূহ নিম্নরূপ

  1. শেখ মুজিব আমার পিতা
  2. সামরিক বনাম গণতন্ত্র
  3. ওরা টোকাই কেন
  4. বিপন্ন গণতন্ত্র
  5. সাদা কালো
  6. বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম
  7. আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম
  8. অসমাপ্ত আত্মজীবনী
  9. MILES TO GO
  10. PEPOLE AND DEMOCRACY
  11. THE QUEST FOR VISION 2021
  12. আমাদের ছোট রাসেল সোনা

উল্লেখযোগ্য সম্মাননা

সামাজিক কর্মকান্ড, শিক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। উল্লেখযোগ্য সম্মাননাগুলো নিম্নরূপ

  1. ইউএন উইমেন থেকে "প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন"।
  2. ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ সালে বস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "ডক্টর অব ল" ডিগ্রি প্রদান।
  3. জুলাই ১৯৯৭ সালে জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "ডক্টর অব ল" সম্মাননা।
  4. ২৫ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে অ্যবার্টয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "ডক্টর অব ফিলোসপী" সম্মাননা।
  5. ১৯৯৮ সালে ইউনেসকো থেকে "হুপে-বোয়ানি শান্তি" পুরস্কার।
  6. ১৯৯৯ সালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা থেকে "চেরেস" পদক লাভ।
  7. ২০ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক "ডক্টর অফ ল" ডিগ্রি লাভ।
  8. ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক "ডক্টর অফ ল" ডিগ্রি লাভ।
  9. সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে ব্রিজপয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক "ডক্টর অফ হিউম্যান" লেটার লাভ।
  10. ২০০৯ সালে "ইন্দিরা গান্ধী" পুরস্কার।
  11. ২০১৪ সালে নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসাবে ইউনেস্কো থেকে "শান্তিবৃক্ষ" পুরস্কার লাভ।
  12. ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য "সাউথ সাউথ" পুরস্কার লাভ।
  13. ২০১৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেতৃত্বের জন্য ইউএন পরিবেশ পুরস্কার "চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ" লাভ।
  14. ১৬ নভেম্বর ২০১৫ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে "ডক্টর অব দ্য ইউনিভার্সিটি" ডিগ্রি প্রদান।
  15. মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেলিভিশন "চ্যানেল ফোর" থেকে "মাদার অব হিউম্যানিটি" খেতাব লাভ।।
  16. ২৬ মে ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক "ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট)" ডিগ্রি প্রদান।
  17. ২৭ এপ্রিল ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরিতে অসামান্য নেতৃত্বদানের জন্য "গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ" এওয়ার্ড লাভ।
  18. রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে দায়িত্বশীল নীতি ও তাঁর মানবিকতার জন্য "আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট এওয়ার্ড" এবং "২০১৮ স্পেশাল ডিসটিংশন এওয়ার্ড ফর লিডারশিপ" গ্রহণ।
  19. মার্চ ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে তাঁকে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন থেকে "লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এ্যাওয়ার্ড" প্রদান।
  20. ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সফলতার জন্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) থেকে "ভ্যাকসিন হিরো" পুরস্কার লাভ।
  21. ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) থেকে "এসডিজি অগ্রগতি" পুরস্কার লাভ।
  22. ২০২১ সালের নভেম্বরে Cop-26 সম্মেলনের সময় বিবিসি থেকে "The voice of the Vulnerable" হিসেবে স্বীকৃতি লাভ।
  23. জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি (জিসিসিএম) থেকে "ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড" লাভ।

পারিবারিক জীবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে এক কন্যা এবং এক পুত্র সন্তান রয়েছেন। তাঁরা হলেন :

সজীব ওয়াজেদ জয়

জন্ম :

২৭ জুলাই

১৯৭১

সজীব ওয়াজেদ জয়

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

জন্ম :

ডিসেম্বর

১৯৭২

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

এম এ ওয়াজেদ মিয়া

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম সুধা মিয়া। তাঁর বাবা আব্দুল কাদের মিয়া এবং মাতা ময়েজুন্নেসা। তিন বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্ব কনিষ্ঠ। তিনি ১৯৫৬ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট হতে শুরু করেন রাজনীতির সাথে। ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করার পর ১৯৬৩ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে আণবিক শক্তি কমিশনে চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের পর দেশে ফেরার পর একই বছর ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে তিনি বিয়ে করেন।

এম এ ওয়াজেদ মিয়া

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া

জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ সাল

জন্মস্থান : ফতেহপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর

পিতা : আব্দুল কাদের মিয়া

মাতা : ময়েজুন্নেসা

মৃত্যু : ৯ মে ২০০৯ সাল

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৯৯ সালে অবসর নেন। ২০০৯ সালের ৯ ই মে বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিটে দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।

রচিত গ্রন্থাবলী : তিনি স্নাতক পর্যায়ের বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। ইংরেজিতে লেখা গ্রন্থদ্বয়ের নাম- "Fundamentals of Thermodynamics" এবং "Fundamentals of Electromagnatics"। তাঁর অন্যতম গ্রন্থ "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ" ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। তাঁর আরেকটি গ্রন্থের নাম "বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র" যা ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ হলেন একজন বাংলাদেশী আইসিটি পরামর্শক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্ম নেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর 'জয়' নাম রাখেন তাঁর নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ সালে তাঁর নানা শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পরে, জয় মায়ের সাথে জার্মানি এবং লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তাঁর শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়

জন্ম : ২৭ জুলাই ১৯৭১ সাল

দাম্পত্য সঙ্গী : ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ওয়াজেদ

কন্যা : সোফিয়া ওয়াজেদ

২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁদের সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়া হয় তাঁকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ ২০১৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ—১.স্মার্ট সিটিজেন, ২.স্মার্ট অর্থনীতি, ৩.স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং ৪.স্মার্ট সোসাইটির ওপর ভিত্তি করে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য এবং একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

সায়মা ওয়াজেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

জন্ম : ৯ ডিসেম্বর ১৯৭২ সাল

দাম্পত্য সঙ্গী : খন্দকার মাশরুর হোসেন

২০০৮ সাল থেকে তিনি শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালে সায়মা ওয়াজেদকে 'এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করে। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম বিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। ২০২০ সালে তিনি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক দূত হিসেবে মনোনীত হন। তিনি ২০২৩ সালের ১ লা নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হন।

ব্যক্তিগত জীবনে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল খন্দকার মাশরুর হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির তিন কন্যা এবং এক পুত্র রয়েছে।

পিতা শেখ মুজিবের সাথে শেখ হাসিনা
পিতা শেখ মুজিবের সাথে শেখ হাসিনা
পুত্র জয়ের সাথে শেখ হাসিনা
পুত্র জয়ের সাথে শেখ হাসিনা
কন্যা পুতুলের সাথে শেখ হাসিনা
কন্যা পুতুলের সাথে শেখ হাসিনা

পরিবারের সদস্য-বৃন্দ

শেখ হাসিনা পরিবার

ডান দিক থেকে- সজীব ওয়াজেদ জয়, স্ত্রী ক্রিস্টিন ওভারমায়ার ওয়াজেদ, শেখ হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু।

শেখ রেহানা

বঙ্গবন্ধুর

কনিষ্ঠ কন্যা

বিস্তারিত